• E-paper
  • English Version
  • মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:০২ পূর্বাহ্ন

×

খুলনার সবজির বাজারে দাম কমেনি

  • প্রকাশিত সময় : শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৩
  • ১০২ পড়েছেন

#অবরোধের কারনে পরিবহন ব্যয় বেড়েছে
#মুদি মনোহরি বাজারে পন্যের দাম কিছুটা বেড়েছে
#মাংসের বাজারে কিছুটা দাম কমেছে

এক সপ্তাহের ব্যবধানে কিছুটা দাম কমেছে ব্রয়লার মুরগি, আলু আর পেঁয়াজের দামে। তবে বেড়েছে মসুর ডাল ও চিনির দাম। শীতের আগাম সবজিতে বাজার ভরে উঠলেও দাম কমেনি সবজির। আগের মতোই চড়া শাক সবজি ও মাছের বাজার। তবে ব্যবসায়ীদের দাবি অবরোধের কারনে পরিবহন ব্যয় বাড়ছে। শুক্রবার খুলনার বেশ কিছু কাঁচাবাজার, মাছ বাজার ও খুচরা বাজারের দোকান ঘুরে দেখা যায়, টমেটো, গোল বেগুন, লম্বা বেগুন, করলা, পটল, লাউ, কাঁচা পেঁপে, শসা, গাজর, ফুলকপি, বরবটি, চিচিঙ্গা, মিষ্টি কুমড়া, ঝিঙ্গা, কচুর লতি, ঢেঁড়শ, লাউশাক, পালং শাক, লাল শাক, কলমি শাক, কচু শাকসহ সবধরনের শাক সবজির বাজার আগের মতোই চড়া। ৫০—৮০ টাকা কেজির নিচে কোনো সবজি নেই। ঢেঁড়স, পটল, ঝিঙ্গা, করোলা, চিচিঙ্গা ৭০—৯০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে, বরবটি ৭০—৮০ টাকা, কাঁচাকলা হালি প্রতি ৪০—৫০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। পুরান আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি। যা গত সপ্তাহে দাম ছিল ৬০—৬৫ টাকা। দেশি ও ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ ও ৯৫ টাকায়। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছিল ১৩০ ও ১০০ টাকায়। দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়। দেশি রসুনের কেজি ২২০ যার দাম গত সপ্তাহে ছিল ২৩০ টাকা। ইন্ডিয়ান রসুন ১৭০ টাকা যা গত সপ্তাহে ছিল ১৮০ টাকা। শুকনা লাল মরিচ ৪২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মুদি পণ্যের মধ্যে দেশি মসুর ডাল ও ইন্ডিয়ান মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৪০ ও ১২৫ টাকায়, যার দাম গত সপ্তাহে ছিল ১৩০—১৩৫ টাকা এবং ১১৫ টাকা। সাদা চিনি বিক্রয় হচ্ছে ১৫০ টাকা কেজি দরে। যা গত সপ্তাহে ছিলো ১৪০ টাকা কেজি। নতুন বাজারের তরকারী ব্যবসায়ী শফিক বলেন, আজকে বৃষ্টি হওয়ার কারণে ক্রেতা কম। শুক্রবার ক্রেতার পরিমান বেশী থাকলেও বৃষ্টির কারনে আজ নেই। বৃষ্টিতে সবজির দাম আরও বেড়েছে। এখন শীতের সবজি বড় হওয়ার সময়। এই বৃষ্টি থাকলে সেগুলো নষ্ট হবে। আর অবরোধের কারণে পরিবহন খরচতো বেড়েছেই। মিন্ত্রি পাড়া এলাকায় বাজার করতে আসা ক্রেতা আজমল বলেন, সবজির দাম চড়া। দাম কিছুতে কমছেই না। এক কেজি শসা কিনতে গেলে ৬০—৭০ টাকা লাগে। আরও অন্যান্য সবজির দাম তো আছেই। বাজারে শিম—ফুলকপি প্রচুর পরিমাণে আসছে। কিন্তু শিমের দাম ৯০— ১০০ টাকা। আর ছোট ফুলকপিও ৬০—৭০ টাকা দাম চায়। এমন হলে কীভাবে চলবে। অন্তত গরিব মানুষের কথা চিন্তা করে হলেও দাম কিছু টাকা কমানো উচিত। ময়লাপোতা সন্ধ্যা বাজারের চিত্র ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি বড় রুই মাছ ৩০০—৩৫০ টাকা, মাঝারি রুই মাছ ২৫০—২৭০ টাকা, কাতলা মাছ ৩০০—৩৫০ টাকা, বড় পাঙ্গাশ মাছ ২০০—৩০০ টাকা, পাবদা মাছ ৫০০—৬০০ টাকা, গলদা চিংড়ি আকারভেদে ৬৫০—৭৫০ টাকা ও শিং মাছ ৪৫০—৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ছোট, মাঝারি, বড় ইলিশ মাছ যথাক্রমে ৯০০, ১২০০ ও ১৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মাংসের বাজারে তুলনায় ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে ২০—৩০ টাকা। ব্রয়লারের কেজি ২০০—২১০ টাকা থেকে কমে দাম হয়েছে ১৬৫—১৭০ টাকা। কক মুরগি ৩২০ টাকা, দেশি মুরগি ৫৫০ টাকা, লেয়ার ৩৪০ টাকা কেজি এবং হাঁস ৫০০ টাকা পিস বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস খুলনায় বিক্রয় হচ্ছে ৬৫০ টাকা কেজি দরে ও খাশির মাংস ১০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: BD IT SEBA